স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প : পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু হয়েছিলো, যা এটি একটি স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প।এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার এবং সু-চিকিৎসার স্বার্থে আর্থিক সহায়তা প্রধান করাই হলো স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প প্রধান উদ্দেশ্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প প্রচলিত করেছেন, তার মধ্যে Kanyashree Prakalpa 2024 অন্যতম।
সূচিপত্র
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কি :
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পটি চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেকোনো পরিবার বা যেকোনো ব্যক্তি কোনো রকম বয়স সীমা ছাড়াই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পটিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কভারেজ প্রধান করার জন্য একটি পরিবারকে বার্ষিক 5 লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে কাগজবিহীন, নগদহীন যা একটি স্মার্ট কার্ড ওপর ভিত্তি করে সমস্ত কাজ পরিচালনা করা হয়। স্বাস্থ্য সাথীটি সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকার দ্বারা স্পনসর করা হয়।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প উদ্দেশ্য :
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের স্বাথ্যসেবার অত্যধিক খরচ বহন করার জন্য আর্থিক ভাবে সহায়তা করা। রাজ্য সরকার প্রাথমিক স্তরে বা অন্তিম স্তরে আকাশছোঁয়া খরচের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাথ্যসেবার ব্যবস্থাকে উন্নত করার চেষ্টা করে চলেছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দ্বারা আপনারা 50 কিলোমিটার ব্যবধানের মধ্যে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সুবিধা, ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি এবং গ্রামীণ বা আধা শহর এলাকার হাসপাতাল গুলিতে সুবিধা পাবেন।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা :
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কিছু বিশেষ সুবিধা গুলি রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো –
- চিকিৎসা খরচ কমানোর জন্য, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে একটি পরিবার প্রাথমিক এবং তৃতীয় পর্যায়ের চিকিৎসা সেবার জন্য 5 লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য কভারেজ পেতে পারে।
- স্বাস্থ্য সাথী স্বাস্থ্য প্রকল্পের প্রিমিয়াম স্বাস্থ্যসেবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রদান করে।
- রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচির সুবিধাভোগীর বাবা-মা এবং নির্ভরশীলদের কভার করে যারা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।
- প্রকল্পটির আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যকে ফোকাস বা ঠিক করতে এবং আপনার যদি কোনো পূর্বব্যর্তী কোনো চিকিৎসা শর্ত থাকে তবেও বীমা কভারেজ পেতে পারবেন।
- স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা, পরামর্শ, ওষুধ এবং অন্যান্য খরচের খরচ কভার করার পাশাপাশি, তার ব্যবহারকারীদের একটি নগদহীন সুবিধা প্রদান করে।
- স্বাথ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে 1500 টি বেশি তালিকাভুক্ত হাসপাতাল পরিষেবা জন্য বাছাই করে নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য :
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কিছু বৈশিষ্ট্য গুলির নিম্নরূপ –
- সরকার দ্বারা নিযুক্ত বীমা প্রদানকারীদের সুবিধাভোগী নিবন্ধন পরিচালনা করবে।
- প্রতিটি শহর, গ্রাম এবং ব্লকে রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প থাকবে।
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
- এখন জেলার নাম, বিভাগ, আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, ব্লক বা পৌরসভার নাম, পরিবারের প্রধানের নাম, পরিবারের সকল সদস্যের নাম এর মতো প্রয়োজনীয় সমস্ত বিবরণ দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
- আবেদনপত্র পূরণ করার পরে, সমস্ত আবেদনকারীদের ডেটা স্বাস্থ্য সাথী পোর্টালে জমা দেওয়া হবে।
- যোগ্য প্রার্থীরা সাত দিনের মধ্যে সক্রিয় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাবেন।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের যোগ্যতা :
- প্রধমে আবেদনকারীদের অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হেব।
- পরিবারে বাবা -মা, প্রধান মহিলা ও তার স্বামী, শশুর, শাশুড়ি এবং সন্তান এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য।
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে পরিবারের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কভারেজ দেওয়া হয়।
- যে সমস্ত ব্যক্তি অন্যান্য কোনো হেল্থ ইন্সুরেন্স করেছেন তারা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য নয়।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদনের পদ্ধতি :
- আবেদনকারীদের প্রথমে স্বাস্থ্য সাথীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট swasthyasathi.gov.in এর যেতে হবে।
- Apply Online এর অপশনে “Online Application for Swasthya sathi card” এর ক্লিক করতে হেব।
- আপনার মোবাইল নম্বরে “Get OTP” তে ক্লিক করতে হবে, তারপরে আপনার মোবাইলে যে OTP আসবে সেটি লিখে সামিট করতে হবে।
- তারপরে, আপনাদের সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হেব, সেটি হলো মূল আবেদনের পেজ।
- আবেদনপত্রটি সম্পূর্ন পূরণ করতে হেব, আপনার জেলার নাম, ব্লক, মিউনিসিপ্যালিটি ইত্যাদি পূরণ করতে হবে।
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদনকারীর নাম পরিবারে প্রধান মহিলার নাম করতে হয়।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড স্ট্যাটাস চেক :
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদন করা পর, আপনারা সহজেই আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে পাবেন।
- আবেদনকারীদের প্রথমে স্বাস্থ্য সাথীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট swasthyasathi.gov.in এর যেতে হবে। [CLICK HERE ]
- তারপরে, Apply Online এর অপশনে “Online Application for Swasthya sathi card” এর ক্লিক করতে হেব।
- এরপর আপনার জেলা সিলেক্ট করে, “Family ID” বা “Adhaar Card No” টি লিখে সামিট করতে হবে।
- Tata Scholarship 2024 Application Form | টাটা স্কলারশিপ 2024 অনলাইন ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়ে গিয়েছে
- Krishak Bandhu Status Check 2024 | কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে কৃষকরা 5000 টাকা করে পাবেন
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মোবাইল নম্বর দিয়ে চেক কীভাবে করবেন 2024(Status Check)
- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প 2024, জেনে নিন টাকা কবে ঢুকবে?
- ওয়েসিস স্কলারশিপ ২০২৩-২৪ এর লাস্ট ডেট কবে? জেনেনিন আবেদন করার পদ্ধতি
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কবে চালু হয় ?
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প 17 ফেব্রুয়ারি 2016 সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কারা পাবে ?
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য পরিবারে বাবা -মা, প্রধান মহিলা ও তার স্বামী, শশুর, শাশুড়ি এবং সন্তান এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কত সালে চালু হয়
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প 2016 সালে চালু হয়।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যালেন্স চেক ?
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যালেন্স চেক করার জন্য আপনাদের কে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর থেকে টোল ফ্রি নম্বর 1800 345 5384 এর কল করলেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।