বিধবা ভাতা : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেতৃত্বে 2010 সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধবা ভাতা প্রকল্পটি চালু করেছিলেন। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গের বিধবা মহিলাদের আর্থিক সহায়তা করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০ বছর বয়সী বিধবা মহিলা থেকে ৫৯ বছর বয়ষ্ক বিধবা মহিলাদের মাথাপিছু মাসে 1000 টাকা হারে আর্থিক সহায়তা করা হয়।এই প্রকল্পের পধান বিভাগ হলো পশ্চিমবঙ্গ মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ এবং সমাজকল্যাণ দপ্তর।
যোগ্য বিধবা মহিলাদের পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে, নাহলে আবেদন করার জন্য যোগ্য হবে না। বিধবা ভাতা প্রকল্পটিতে আবেদন করার জন্য মৃত স্বামীর মৃত্যু শংসাপত্র এবং তার যেকোনো পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক লাগবেই। আর এর সাথে সাথে বিধবা মহিলাদের মাসিক আয় 1000/- থেকে কম হতে হবে। আবেদনকারীদের অফলাইনে আবেদন করতে হবে, তার জন্য আপনাদের গ্রামীণ পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রামীণ এলাকায় ব্লক অফিস থেকে আবেদনপত্রটি সংগ্রহ করতে হবে।
বিধবা ভাতা ভূমিকা
বিধবা ভাতা প্রকল্পটি “পশ্চিমবঙ্গ বিধবাদের আর্থিক সহায়তা প্রকল্প” নমে পরিচিত। বিধবা ভাতা প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের বিধবা মহিলাদের আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য চালু করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত বিধবা মহিলা এবং অবিবাহিত মহিলাদের যায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাথাপিছু 1000/- টাকা ভাতা হিসাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
বিধবা ভাতা সুবিধাগুলি
পশ্চিমবঙ্গের বিধবা ভাতা অধীনে সুবিধাভোগীদের নিম্নলিখিত সুবিধা গুলি হল
- আবেদনকারী যোগ্য বিধবা ও অবিবাহিত মহিলাদের 1000/- টাকা হারে ভাতা বা পেনশন পাবে।
- এই ভাতার মাধ্যমে বিধবা মহিলারা স্বাধীন ভাবে জীবনযাপন করতে সহায়তা করবে।
বিধবা ভাতা যোগ্যতা কী কী
বিধবা ভাতা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয়যোগ্যতা গুলি হল
- প্রকল্পটিতে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীদের পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকরী মহিলাদের বিধবা বা অবিবাহিত হতে হবে।
- বিধবা মহিলাদের মাসিক আয় 1000/- টাকার কম হতে হবে।
বিধবা ভাতা জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
বিধবা ভাতা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ বাসিন্দা জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলি নিম্নরূপ
- পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র। (ভোটার আইডি কার্ড বা প্যান কার্ড)
- বিধবা মহিলাদের স্বামীর মৃত্যু শংসাপত্র।
- আবেদনকারীদের আর্ধার কার্ড, রেশন কার্ড এবং আয়ের শংসাপত্র।
- আবেদনকারীদের মহিলার ব্যাংকের বিস্তারিত তথ্য।
- মৃত স্বামীর আইডি। (ভোটার আইডি কার্ড বা প্যান কার্ড বা আর্ধার কার্ড)
- অবিবাহিত মহিলাদের জন্য অবিবাহিত অবস্থার শংসাপত্র।
বিধবা ভাতা আবেদন পদ্ধতি
বিধবা ভাতা জন্য সঠিক আবেদন পদ্ধতি নিম্নরূপ
- গ্রামীণ পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রামীণ এলাকায় ব্লক অফিস থেকে আবেদনকারীদের বিধবা ভাতা প্রকল্পের আবেদনপত্রটি সংগ্রহ করতে হবে।
- আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলি যোগ করুন।
- আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার গ্রামীণ এলাকায় ব্লক অফিস বা গ্রামীণ পঞ্চায়েত সমিতিতে জমা দিন।
- আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দ্বারা যাচাই করা হবে।
- সবশেষ, যাচাই করার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থেকে অনুমোদন প্রদান করা হবে।
- জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার পর প্রতি মাসে 1000/- টাকা করে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট প্রদান করা হবে।
বিধবা ভাতা ফরম পূরণ
বিধবা ভাতা আবেদন করার জন্য আবেদনপত্র ফরমটি সংগ্রহ করতে হবে, যা আপনারা আপনার নিকটবর্তী গ্রামীণ পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রামীণ এলাকায় ব্লক অফিস থেকে পেয়ে যাবেন।
বিধবা ভাতা ফরম pdf download করার জন্য নিচে একটি লিংক দেওয়া হলো। [Click Here]
বিধবা ভাতা লিস্ট 2024
বিধবা ভাতা প্রকল্পটিতে আবেদনকারীদের প্রতি বছর একটি লিস্ট প্রকাশ করা হয়। আবেদনকারীদের বিধবা ভাতা লিস্ট 2024 দেখার জন্য Union Parisad অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আপলোড করা হয়। Union Parisad ওয়েবসাইট থেকে আপনারা খুবই সহজেই বিধবা ভাতা লিস্ট দেখতে পেয়ে যাবেন।
বিধবা ভাতা স্ট্যাটাস চেক
বিধবা ভাতা status check করার জন্য আবেদনকরীদের দুয়ারে সরকার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট স্ট্যাটাস চেক অপসন সার্চ করতে হবে। তারপরে, Check Your Application Status আপনার মোবাইল নম্বর এবং বিধবা ভাতা স্কিমটির নির্বাচন করে “Submit” অপসন ক্লিক করতে হবে।
বিধবা ভাতা হেল্পলাইন নম্বর
পশ্চিমবঙ্গ প্রকল্প ইমেল- support.swpension-wb@gov.in.
পশ্চিমবঙ্গ মহিলা, শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দপ্তর হেল্পলাইন নম্বর- ০৩৩-২৩৩৪১৫৬৩ / ০৩৩-২৩৩৭১৭৯৭
পশ্চিমবঙ্গ মহিলা, শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দপ্তর ইমেল- secy.wcdsw@gmail.com.
বিধবা ভাতার টাকা কবে ঢুকবে
2024 সালে যারা আবেদন করেছেন তাদের আবেদনের ঠিক 2 মাসের মাধ্যমে টাকা আপনাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট ঢুকে যাবে।
বিধবা ভাতা চালু হয় কত সালে
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেতৃত্বে 2010 সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধবা ভাতা প্রকল্পটি চালু হয়।
বিধবা ভাতার টাকা দেখার নিয়ম
বিধবা ভাতা সমস্ত টাকা আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট ঢুকবে, আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট মাধ্যমে সবকিছু দেখতে পারবেন।